মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

করোনা ভাইরাস
***   সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গসমূহ   ***   জ্বর   ***   শুকনো কাশি   ***   ক্লান্তিভাব   ***   কম সাধারণ   ***   উপসর্গসমূহ   ***   ব্যথা ও যন্ত্রণা   ***   গলা ব্যথা   ***   ডায়রিয়া   ***   কনজাংটিভাইটিস   ***   মাথা ব্যথা   ***   স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া   ***   ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠা বা আঙুল বা পায়ের পাতা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া
সংবাদ শিরোনাম :
কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চুর বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্রকারিদের রুখে দেওয়া হবে। স্মার্ট ভূমিসেবা চালুর ফলে নাগরিকের ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে——সহকারী কমিশনার মোঃ আজাহার আলী কালিগঞ্জে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কালিগঞ্জে কাজী আবু নাঈম গ্রেফতার সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ফাতিমা খাতুন রিক্তার প্রার্থীতা ঘোষণা আশাশুনিতে বাড়ির সকলকে চেতনা নাশক ছিটিয়ে অজ্ঞান করে চুরি। সাতক্ষীরা জেলা বাসদের বর্ধিত ফোরামের সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কালিগঞ্জে গাজী শওকাত নৌকা পাওয়ায় সহস্রাধীক মটর সাইকেলে আনন্দ র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় ১৮ বছরেও এমপিও হয়নি সরদার আবু হোসেন কলেজ: ২০ শিক্ষক কর্মচারী মানবেতার জীবন যাপন
কা‌লিগ‌ঞ্জে ১০ টাকার চাল আত্মসাৎ

কা‌লিগ‌ঞ্জে ১০ টাকার চাল আত্মসাৎ

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি ::

কালিগঞ্জে সরকারের ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র ১০ টাকা কেজি দরের চাউল হতদরিদ্রদের না দিয়ে ডিলারের সহযোগিতায় চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সকালে জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের বিরুদ্ধে চাউল আত্মসাতের অভিযোগ এনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র তালিকার ৪৫৬ নাম্বার সিরিয়ালের হতদরিদ্র বসন্তপুর গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে আব্দুল করিম। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে প্রয়োজনিয় কাগজপত্র ও ছবি দিয়ে কার্ডধারী হিসেবে তালিকায় অন্তভূক্ত হন। সেখানে তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার ব্যবহার না করে তালিকায় ভুয়া ০১৮৫৫২০৯১৭০ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কোন চাউলের কার্ড পাইনি। বেশ কিছুদিন আগে তালিকায় নাম দেখে চাউল সংগ্রহ করতে গেলে চাল দেওয়া হয়নি। সেই থেকে অনেকেই চাল পেলেও আজ পর্যন্ত ১০ টাকা দরের চাউল কপালে যোটেটি করিমের। ভোক্তভোগী আরো বলেন, চাল না পাওয়ার বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানালে নানা অযুহাত দেখায় এবং খারাপ আচরণ করে। তিনি ডিলারকে ম্যানেজ করে হতদরিদ্র কার্ডধারী ব্যক্তিদের চাল না দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ওই চাল আত্মসাৎ করে মুদি দোকান এবং কালো বাজারে বিক্রি করে দেন। এছাড়া উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের কার্ডধারী (কার্ড নং-৩৯) করম আলী শাহাজীর ছেলে শাহিনুর শাহাজী, (কার্ড নং-৩৬৫) আবু বক্কার গাজীর ছেলে আবু হানিফসহ অসংখ্য স্বচ্ছ ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের ধন-সম্পদ, অর্থ বিত্ত কমতি নেই তাদের। তার পরও তারা সরকারের এসব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। এতে স্থানীয় বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠি সরকারের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারের বরাদ্ধকৃত ১০টাকা কেজি ধরের চাল আমার মত হতদরিদ্রদের না দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আত্মসাত করে নেন। এতে স্থানীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে একাধিকবার জানালেও কোন কর্নপাত না করায় বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তরের অভিযোগ করেন। এবিষয়ে মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এবিষয়ে আমার কাছে কেউ কিছু জানাইনি ও আসেনি। তবে হত দরিদ্র করিমের নাম তালিকায় থাকার পরেও তাকে কার্ড ও চাউল না দেওয়ার ব্যাপারে কোন সৎ উত্তর দিতে পারেনি চেয়ারম্যান। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাফুজুল আলম বলেন, আমরা শুধু তালিকা অনুযায়ী চাউলের ডিও দিয়ে থাকি। বাকি কাজ স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং মেম্বরদের। অত্র ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাক অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ওমর ফারুক কিছুই জানেন না বলে জানান। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, তদন্তে সত্যতা মিললে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved ©sundarbonbarta.com2020

Hosted By LOCAL IT